মিয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

আজকের আধুনিক সমাজে ঘরে বসে একজন রমনী চাইলে তার চৌহদ্দির ভেতরে থেকে অনলাইনে আয় করতে পারেন।তবে সেক্ষেত্রে তাকে অনলাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।একজন ভালো রমনী হবার পাশাপাশি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে সংসারের কাজে ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো আয় করতে পারেন।সমাজের একটি বৃহৎ অংশ নারী এবং তার ভূমিকা অপরিসীম।তাই এ অংশটিকে বাদ দিয়ে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মিয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

সূচনা

সংসারে নারী পুরুষ উভয়ের উপার্জন ছাড়া একপাক্ষিক ইনকামে উন্নতি সম্ভব নয়।তাই ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় করার বিকল্প নেই।বর্তমান সমাজে নারীর বাইরের কর্মস্থল ততটাও নিরাপদ নয়। কাজের পরিবেশ ও অর্থ আয়ের ব্যবস্থা অনুযায়ী কর্মপরিবেশগত সমস্যা নারীর জন্য অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।

তাছাড়া রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী নারীর জন্য পর্যাপ্ত শর্ত মেনে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়নি।এমন পরিস্থিতিতে নারীর জন্য ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সময়ের জোরালো দাবি।এখন একটি স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং, প্রোগ্রামিং,কোডিং,সফটওয়্যার

ডেভলপমেন্ট,ওয়েব ডিজাইনিং,লোগো ডিজাইনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং,সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ক্যাপচা তৈরী ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে বিনা বিনোয়োগে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারেন।তথ্য প্রযুক্তির যুগে আয় রোজগার একটি ডিজিটাল মাধ্যমে হতে পারে।

মিয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

আমাদের অনেকেরই মনে হতে পারে যে মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করাটা আয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনি চাইলে আপনার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারেন। আধুনিক বিশ্বায়নের ফলে এবং তথ্য ও প্রযুক্তির অভাব যোগাযোগের কারণে আজকের দিনে আয়ের সম্ভাবনা অনলাইন ভিত্তিক হয়েছে।

একজন মেয়ে চাইলে গৃহস্থালির কাজকর্ম করেও প্রতি মাসে একটি আকর্ষণীয় আয় করতে পারে। তাই সময় দক্ষতা ও কর্ম ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে নারীদের বিভিন্ন কাজকর্ম করার সুযোগ থাকছে। আজকের আলোচনা আমরা সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ডাটা এন্ট্রি করে আয়

বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক কর্মগুলোতে ডাটা এন্ট্রি একটি জনপ্রিয় কাজ। আপনি যদি নারী হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি মনে করেন আমি প্রতি মাসে এক লক্ষ পর্যন্ত টাকা আয় করব তাহলে ডাটা এন্ট্রি করে তা করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে নামী কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। কর্মের এবং নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কারণে ব্যাপক হারে সুযোগ দানের জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

তন্মধ্যে বিষয়টি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশে যে হারে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে সে কথা মাথায় নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে।স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরীর পাশাপাশি স্বল্প আয়ের ইচ্ছা, অবসর সময়কে কাজে লাগানো, নারীদের আয়ের ক্ষেত্রে ইত্যাদির কারণে এটি দারুন ভাবে কার্যকর হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এটাও দেখেছি যে, এখানে নারীরা সবচেয়ে বেশি বিচরণ করছে এবং সফল হচ্ছে।

সমাজের সিংহভাগ কাজকর্মে নারীর পদচারণা প্রয়োজন। কেননা আমাদের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। এই বৃহৎ জন সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে অথবা আয়মূলক কাজের বাইরে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তা নারী ক্ষমতায়ন ও আয়ের সাথে সম্পৃক্ত করতেই বর্তমানে অনলাইন ভিত্তি কাজকর্মে ডাটা এন্ট্রি নারীর আয়ের ক্ষেত্রে দারুন ভাবে সহায়ক ও কার্যকরী। সময়ের প্রয়োজনে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত বলেও প্রমাণিত।

অনলাইনে রিসেল বিজনেস করে

আধুনিক বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য অনলাইন ভিত্তিক হয়েছে। সময় ও পরিশ্রম সাশ্রয়ের দিকে পুরো পৃথিবী ধাবমান। পুরো বিশ্ব যখন আধুনিকায়নের দিকে জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক প্রচার-প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। প্রত্যেকটি কর্মব্যস্ত মানুষের সময় স্বল্পতার কারণে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা জমজমাট আকার ধারণ করেছে। 

তাছাড়া পন্য delivery কিংবা বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়টি দারুন ভাবে উঠে আসছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আগামীর ডিজিটাল বিশ্বে মার্কেটিং বিষয়টি আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বহু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান অনলাইন ভিত্তিক তাদের বিজনেস কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছে। ফলে তারা আরো বেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করতে পারছে।

তাছাড়া দেশের পাশাপাশি বিদেশেও বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। আপনার পণ্য পুরো পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে যাচ্ছে। নারীরা নিরাপদে ঘরে বসে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে এ মাসে আয় করতে পারে। আপনার সংসারে কাজকর্ম বুঝি দিনের একটি নির্দিষ্ট ভাগে অনলাইনে মার্কেটিং করতে পারেন।

পণ্য উপস্থাপন, মূল্য নির্ধারণ, ক্রয় বিক্রয়ে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ, মাধ্যমিক ভূমিকা পালন ইত্যাদি কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। তাছাড়া বেশ কিছু কোম্পানি নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।তাড়াতাড়ি শুধু টিকে কাজে লাগিয়ে একটি ভালো বেতনে চাকরি করতে পারে।

ফেসবুক গ্রুপ তৈরি ও বিক্রি করে আয়

আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক একটি অতি পরিচিত এবং সহজ মাধ্যম। নারীরা ঘরে বসে তাদের নিরাপদ আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকে গ্রুপিং করতে পারেন। আরো সহজ করে বলতে গেলে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে ফেসবুকে একজন মানুষকে জোগাড় করে কি দল তৈরি করতে পারেন।

এবং ধীরে ধীরে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ভবিষ্যতে তা একটি বড় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হবে।তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রির জন্য সেই গ্রুপের মালিকের কাছে অ্যাড দিতে চাইবেন। যা বিপণনের ক্ষেত্রে অর্থ আয়ের একটি বড় সুযোগ। তাছাড়া বড় গ্রুপে কোম্পানিগুলো এডসেন্স ব্যবহার করে। তা থেকেও ভালো আয় করা সম্ভব। এছাড়া আপনার তৈরি কোন গ্রুপ যদি বেশি সদস্য দ্বারা সাবস্ক্রাইব হয়ে থাকে তবে তা প্রচুর টাকায় বিক্রি করতে পারেন।

ফেসবুক পেজ ও প্রোডাক্ট সেল

জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করেও বহু টাকা আয় করা সম্ভব। আজকের আধুনিক যোগাযোগের বিশ্বে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন। তাছাড়া নিজের দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক ভাবে উপস্থাপন করতেও এ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ফেসবুকে একটি পেজ বানিয়ে আকর্ষণীয় পণ্য ও তার সার্কুলার দিলে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। নারীদের কাজের ক্ষেত্রে মাধ্যমিকে অত্যন্ত নিরাপদ ও জনপ্রিয়। বর্তমানে নারীর অগ্রযাত্রায় ও আধুনিক বিশ্ব অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ তৈরি ও প্রোডাকশন একটি আয়ের ক্ষেত্রে দারুন সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

আর কেবল এই কাজগুলো করে নিজেই শুধু চাকরি করা যায় না আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন। আপনি চাইলে নিজের চাকরির পাশাপাশি এক বা একাধিক ব্যক্তিকে চাকরি দিতে পারেন। এ ছোট ছোট বিনিয়োগ গুলো বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে। আপনি বনে যেতে পারেন বর্তমান সময়ের আইডল।

টিউশন থেকে আয়

নারী হিসেবে যে প্রতিবন্ধকতা গুলো দৃশ্যমান সে কারণগুলো থেকেই আয় পার্থক্য আসে। তাছাড়া নারীকে সারাদিন জিজ্ঞেস খালি কাজকর্মগুলো করতে হয় তার কারণেও সেই আয়মূলক কাজের সম্পৃক্ত হতে পারেনা। তাই সংসার গোছানো শেষে একজন নারী টিউশন থেকেও ভালো আয় করতে পারে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ছাত্র নিয়ে, ক্লাস ভিত্তিক ব্যাচ তৈরি করে দিনের বিভিন্ন অংশে পড়াতে পারেন। এতে তিনি দারুন ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন।

ফার্মিং করে

যেহেতু নারীদের দিনের সিংহভাগ সময়ে বীজ খালি করবে বাড়িতে অবস্থান করতে হয় সুতরাং মুরগি হাঁস গরু ছাগল ইত্যাদি প্রতিপালন করে আয় করতে পারেন। এটি শুধু পারিবারিকভাবে চিন্তা না করে বৃহত্তরভাবে বাণিজ্যিক চিন্তা করা উচিত। এটি কি ফার্মের আকার দিয়ে শ্রম বিনিয়োগ করলে তা থেকে বেশ ফলপ্রসু বা লাভবান হওয়া সম্ভব।

শাক সবজি বাগান অথবা গার্ডেনিং

আজকের দিনে নারীরা ঘরে থাকাকালীন সময়ে বাড়ির আশপাশে খালি পড়ে থাকা জমিতে শাকসবজি উৎপন্ন করতে পারেন।তাছাড়া বিভিন্ন ফুলের চাষ করে তিনারা ভালো আয় করতে পারেন।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যবসা

প্রসাধনী, কিংবা ছোট ব্যবসার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়েও নারীরা আয় করতে পারে। অন্যের প্রতিষ্ঠানে যে মানসিক চাপ তা থেকে ছোট ব্যবসায় নিজে উদ্যোগী হয়ে স্বল্প পরিসরে শুরু করতে পারে। তাছাড়া কর্মস্থলের যে হয়রানি অথবা নিরাপত্তার বিষয়টিতে যে উদ্বেগ কাজ করে তা থেকে অনেক আসে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ব্লগিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েটিং

ঘরোয়া ভাবে একজন নারী তার একটি সেলফ অ্যাকাউন্ট থেকে শিক্ষামূলক, রান্নাবান্না সংক্রান্ত, সংস্কৃতিক,বিনোদন ধর্মী কিংবা ননতত্ত্বের বিভিন্নমুখী বিষয় নিয়ে ব্লগ অথবা কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইন থেকে প্রাপ্ত আয়ের ক্ষেত্রগুলোতে এটি দারুন এক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

ভাষা অনুবাদ করে

বিশ্বের বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সময় স্বল্পতার কারণে যদি বিশ্বে বাজার সম্প্রসারণ করেছে। ইতিবাচক অর্থে এবং নারীর অগ্রযাত্রায় এখানে নারীকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম গুলো বিভিন্ন দেশের ভাষায় অনুবাদ বিষয়ক ট্রান্সলেটর কর্ম যুক্ত করেছে। একটা হোমলি এটমোস্ফিয়ারে থেকে বিভিন্ন ভাষাকে ভাষান্তর করে মাসে একটি আকর্ষণীয় আয় করা সম্ভব।

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

বহিরাঙ্গনে শ্রম বিনিয়োগ এখন অনেকটাই পুরাতন আকার ধারণ করেছে। আধুনিক যুগে বিশ্বকে সংকুচিত করে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। সেজন্য আন্তর্জাতিক সীমারেখা মাড়িয়ে দেশ কাল ভেদে সকলকে ব্যবসার ক্ষেত্রে যুক্ত করায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বর্তমানে লক্ষ্য বিন্দু। অনলাইন ভিত্তি বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সেক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে।

যারা বিশেষ করে নারী ঘরে অবস্থান করে তাদের আয়ের ক্ষেত্রে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, লোগো ডিজাইনিং, ই-কমার্স ম্যানেজমেন্ট, মিডিয়া ম্যানেজার, রিটেল ই সেলার বিভিন্ন পরিষেবা দানের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

সেজন্য প্রথমত একজন ব্যক্তিকে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। অনলাইনে একটি স্বল্পমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে উল্লেখ্য ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়।

ঘরে বসে মোবাইলে আয়

একজন ব্যক্তি চাইলে মোবাইলে ঘরে বসে আয় করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার একটি এন্ড্রয়েড ফোন প্রয়োজন। ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বহু কাজ ডিজিটালি সম্পাদন করা হয়। বিধায় এত বড় সিস্টেম কি অপারেট করতে বহু সংখ্যক লোকবলের প্রয়োজন। এ বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করতেই অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো ঘরে বসেই চুক্তিভিত্তিক অথবা কাজের শেষে পেমেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আয় করার সুযোগ করে দিয়েছে। একজন ব্যক্তি চাইলেই কর্মস্থান হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিতে পারে।

নারীদের ঘরে বসে কাজ

এখনকার দিনে নারীদের ঘরে বসে কাজ করার বহু উপায় আছে। শিক্ষিত অথচ বেকার, কাজ শেষে অবসর সময়, চাকরির পাশাপাশি স্বল্প আয় ইত্যাদি কারণ থাকলে ঘরে বসে আয় করা যায়। ঘরে বসে মুরগির প্রতিপালন, টিউশন করানো, শাকসবজি উৎপাদন, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প স্থাপন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, দিবা যত্ন কেন্দ্র ইত্যাদি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তাছাড়া প্রসাধনী ব্যবসা, বাজার প্রতিনিধি হিসেবেও থাকছে কাজ করার সুযোগ।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

যারা বেকার আছেন অথবা ঘরে বসে আয় করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বর্তমানে অনলাইন মিডিয়ায় কাজের বহু সুযোগ তৈরি হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। অনলাইন মিডিয়ার জগতে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ে প্রতিমাসে ৫০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তাছাড়া পশুপালন যেমন মুরগি কিংবা হাঁসের খামার স্থাপনের মাধ্যমে অথবা ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ইত্যাদির মাধ্যমেও কাঙ্খিত পরিমাণ আয় করা সম্ভব।

ফ্রি টাকা ইনকাম

টাকা পয়সা পৃথিবীতে শ্রমের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। পরিশ্রম ছাড়া শর্টকাটে টাকা ইনকাম করার কোনো পদ্ধতি নেই। তবে এখানে ফ্রি বলতে একটি বিষয় সেটি হল "মূলধন ছাড়া শ্রম বিনয়োগ করে টাকা আয়"।ডিজিটাল আর্নিং প্লাটফর্ম অথবা আউটসোর্সিংয়ে প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দক্ষতা এসে গেলে প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হলেই আপনি টাকা আয় করতে সমর্থ্য হবেন।বর্তমানে দেশে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিক অথবা যারা ফ্রিল্যান্সিং করছি তারা সবচেয়ে বেশি দেশকে কর দিচ্ছে।

বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন

একবারে বসে না থেকে যারা অনলাইন আয় করতে ইচ্ছুক তারা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আয় করতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্ডিনারি আইটি নামক একটি প্রতিষ্ঠান পোস্ট রাইটিং এর জন্য কর্মী ভাড়া করে। তাছাড়া ক্যাপচা তৈরি, ফ্যান ফেয়ার অ্যাপস, facebook মনিটাইজেশন, কনটেন্ট writing, ভিডিও ক্রিয়েটিং, ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

কোটি টাকা আয় করার উপায়

টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আপনার কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে নির্ধারিত হবে আপনার টাকা আয়ের পথ।ওটা কার জন্য আপনাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রাথমিকভাবে ছোট একটি কাছ থেকে শুরু করে ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ছোট ছোট উদ্যোগের অর্থ গুলো আপনাকে বড় সঞ্চয়ের দিকে নিয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে একজন কর্মী হিসেবে 

আপনার কর্মজীবন শুরু করলেও আপনার পুঁজি ও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি আপনাকে কোটি টাকার কাছে পৌঁছে দিবে।আপনি যখন নিজ ক্ষেত্র থেকে স্বল্প হলেও আয় করছেন ঠিক তখন আপনার ঝুঁকি নেবার সমর্থ্য তৈরি হবে। এ সমর্থ্য থেকে আপনি বিনিয়োগ করতে শিখবেন।আপনার আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব অন্য কেউ আপনার প্রতি বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।এভাবে এগিয়ে যাবে আপনার কোটি টাকার জার্নি।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠক, একজন নারী তার প্রতিবন্ধতা কাটিয়ে আধুনিক বিশ্বে কি কি উপায়ে ঘরে বসে আয় করতে পারে সে বিষয়ে এ কলামে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি উক্ত আলোচনাটি আপনার দক্ষতা জ্ঞান ও সুযোগ তৈরিতে সহায়ক হবে। আলোচনা ভালো লেগে থাকলে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url