এলার্জি ঔষধ এর নাম ও ঘুমের ঔষধ নাম

মানুষের জীবনে অসুখ-বিসুখ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর সেই অসুখ-বিসুখে ঔষধ অতি প্রয়োজন। সুস্থ জীবন যাপন করতে গেলে আমাদের যত্নশীল হওয়া যেমন জরুরী তেমনি অসুস্থ হলে ঔষধ খাওয়ার বিকল্প নেই।
এলার্জি ঔষধ এর নাম ও ঘুমের ঔষধ নাম

ভূমিকা

বন্ধুগণ, আজকে আমরা মানুষের জীবনে যে সকল অসুখের সম্মুখীন হই তারমধ্যে কয়েকটি অসুখ নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা প্রাত্যহিক জীবনে এ সকল অসুখে আক্রান্ত হন। প্রত্যেকটি মানুষের জীবন সুখময় করতে হলে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের গুরুত্ব অনেক।তবে যদি অসুখে নিপতিত হয় তাহলে ঔষধ সেবনের জন্য জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।তাই চলুন,জেনে নেয়া যাক কিভাবে,কোন অসুখের,কখন,কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া বা ঔষধ-পথ্য সেবন করা যায়।

ঔষধ কি

 Drug শব্দটি প্রাচীন ফরাসি শব্দ "Drougue"থেকেই উৎপত্তি লাভ করেছে। পরবর্তীতে এই শব্দটি ডাচ ভাষায় " droge-vate" এভাবে এসেছে। যা আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়-শুকনা পাত্র। যেখানে ওষুধি গাছ সংরক্ষিত থাকে। বাংলায় ঔষধ শব্দটির আদিমূল শব্দ হলো সংস্কৃত। তবে এটি তৎসম শব্দ বটে। ঔষধ হলো রাসায়নিক যৌগ যার মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয়।ফলে শরীরে বাসা বাঁধা অসুখ সেরে যায়।

সাধারণত ২ ধরণের ঔষধ পাওয়া যায়।একটি থেরাপিউটিক আর অন্যটি প্রোফাইলেক্টিক। সহজ কথায় প্রতিরোধক (preventive)আর অপরটি নিরাময়যোগ্য (curable)।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে দ্রব্য রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে, উপশমে,প্রতিরোধে, প্রতিকারে ব্যবহার করা হয় এবং যে সকল খাদ্যদ্রব্য শরীর গঠন ও ক্রিয়াকালাপকে প্রভাবিত করতে পারে তাকে ওষুধ বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঔষধের সংজ্ঞা দিয়েছেন অন্যভাবে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানান,ঔষধ শব্দটির অর্থ সম্পর্কে বোঝাতে বলেছেন ঔষধ নানা মাত্রায় ব্যবহার হতে পারে।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, ঔষধের আরোগ্য প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম। আর ফার্মাকোলজিতে বলা হয়, ঔষধ একটি রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণী দেহের অথবা কলার জৈব রসায়নিক, শারীরিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।

এলার্জি ঔষধ এর নাম 

মানবদেহে অনেক রকম অসুখ থাকলেও তার মধ্যে এলার্জি একটি। রক্তে আইজিই এর পরিমাণ বেশি থাকলে এলার্জি দেখা দেয়। এলার্জি শরীরে অভ্যন্তরে সংঘটিত হওয়া এক ধরনের অসুখ যা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং বহুলাংশে ক্ষতি করে।
নিচে এলার্জির প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
  • স্কিন এলার্জি ,
  • ল্যাটেক্স এলার্জি,
  • ফুড এলাজি,
  • পোলেন এলার্জি,
  • ঠান্ডা জনিত এলার্জি,
ডাস্ট এলার্জি সহ আরো নানান ধরনের এলার্জি রয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যবহৃত এলার্জির কিছু ঔষধের তালিকা নিচে দেওয়া হল
  1. Rupatadine --10 mg (Rupa/Rupatrol/ Duvent)
  2. Cetirizine -- 10 mg(Alatrol/Artizin/Cetizin)
  3. Chlorpheniramine --4mg( Histacin/Histal/ Histagen)
  4. Fexofenadine --60mg, 120mg, 180mg( Fexo/ Fenadine)
  5. Loratadine--- 10mg(Loratadine/ Loratine/Pretin)
উপরে বর্ণিত ঔষধ গুলো নিয়ম করে খেলে আশা করি এলার্জি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তবে এছাড়াও কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যেগুলো এলার্জির অভ্যাস থাকলে মেনে চলা উচিত। উচ্চ আমি সমৃদ্ধ খাবার অথবা অধিক মসলা সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, রসুন, পেঁয়াজ, হাঁসের ডিম,চিংড়ি মাছ ইত্যাদি

খাবার থেকে সাবধানতা অবলম্বন করলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।তবে এটি যদি অসুখ না হয়ে বংশগত হয় তবে এটি থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয় না। সুতরাং জীবনযাপনে সতর্ক হয়ে এলার্জি থেকে মুক্তি লাভ করুন। কেন জীবন পদ্ধতি সবচেয়ে বড় পন্থা অসুখ-বিসুখ এড়িয়ে চলার জন্য।

ঘুমের ঔষধ নাম কি

খাদ্য গ্রহণ,বিশ্রাম, ঘুম এ তিনটি বিষয় মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিতভাবে সঠিক সময়ে এ কাজগুলো সম্পন্ন করলে সুস্থ জীবন যাপনে তা সহায়ক হয়।ঘুমের জন্য দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন এবং পরিশ্রমের বিকল্প নেই। যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন না অধিকাংশ সময় দেখা যায় তাদের ঘুম ভালো হয় না।

ফলশ্রুতিতে হৃদরোগের ও মানসিক অবসাদের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ব্যক্তি হতোদ্যম ও নিরাশ হয়ে পড়ে।তবে এসব ব্যাপারেও যাদের ঘুমের সমস্যা থাকে তাদের জন্য ঔষধ সেবন করতে হয়। যদি অভ্যাসটি খুব একটি ভালো নয়। দীর্ঘদিন যাবত ওষুধ সেবন করলে স্মৃতিশক্তি লোপ, উন্মাদ, নেশাগ্রস্থ হবার প্রবণতা থাকে।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কার্যকরী পাঁচটি ঘুমের ওষুধ
  • ট্রিপটিন-২৫ মি.গ্রাম।
  • ডায়াজিপাম- Diazepam।
  • ডিসোপ্যান-২ মি.গ্রাম।
  • রিভোট্রিল-০.৫ মি.গ্রাম।
  • মিলাম-৭.৫ মি.গ্রাম।
  • ক্লোন-০.৫ মি.গ্রাম।

স্তন বা দুধ বড় করার ঔষধ 

স্তন বা দুধ হলো মহিলাদের জন্য আকর্ষণীয় একটি বস্তু। যে নারীর বক্ষ যুগল যত সুডৌল সে রমনীর প্রতি মানুষের আকর্ষণ তত বেশি। যেসব প্রাকৃতিক উপায় খাদ্যাভাসের মাধ্যমে স্তন বড় করা সম্ভব। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার -মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এবং দুগ্ধজাত সকল খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ। সকল রকমের পুষ্টিকর শাকসবজি এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সকল খাবার স্তন বাড়ানোর কাজে সাহায্য করে। লেবু, কমলা, আম, পেঁয়াজ, পেয়ারা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।

মসুরের ডাল, মাসকলাই ডাল সহ হাই প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দারুন ভাবে কার্যকরী। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান এবং ব্রেস্টফিডিং স্তন বা দুধ বড় করার ঔষধ।৫ ঘুমের ঔষধ ঘুম মানুষের জীবনে অতীব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।ঘুমের কারণে ক্লান্তি দূর হয়, মানসিক শান্তি ফেরত আসে, নতুন উদ্যমে কর্মশক্তি পাওয়া যায়। ঘুমের জন্য সর্বোত্তম হল চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করা। তাছাড়া শারীরিক পরিশ্রম করার মাধ্যমে ক্লান্ত হওয়া ঘুমের অন্যতম শর্ত।

আম ঘুমের জন্য সহায়ক একটি ফল। আমি প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল থাকে। তাই অনিদ্রায় আক্রান্ত হলে আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। তাছাড়া ডায়াজিপাম নামের একটি ঔষধ রয়েছে।যা ঘুমের জন্য সহায়ক। তবে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় ওষুধের প্রয়োগে ঘুমের অভ্যাস কোনদিনই কাম্য নয়। তাই সুস্থ জীবন যাপনের মাধ্যমে নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

লেখকের মন্তব্য 

সম্মানিত পাঠক, সুস্থ জীবন যাপন করতে গিয়ে অসুস্থতার কবলে পড়লে যে সকল ওষুধ আপনার সঙ্গী হতে পারে। তেমনি খানিকগুলো ঔষধ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো।আশা করি আলোচিত বিষয়টি আপনার জ্ঞানের পরিসীমা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। উপকৃত হলে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url