৩মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

প্রকৃতির নিয়মে পালাবদল ঘটে। এভাবে গরমের পর আসে শীত।মৌসুম বদলের দ্বারপ্রান্তে নানা রকম অসুখ বিসুখ নিয়ে হাজির হয় ঋতু। সামনে শীত আসছে। দেখা যায়, শীত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি অসুস্থতার কবলে পড়েন নবজাতক শিশুরা।আর অসুস্থতার সে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সর্দি কাশির মত ব্যাধি। একটু অসাবধানতা কিংবা যত্নের ঘাটতি নবজাতক শিশুর মারাত্মক বিপর্যায় আনতে পারে। তাই শীত মৌসুমে শিশুদের জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।
৩ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

ভূমিকা

শিশুরা যেহেতু নির্ভরশীল এবং আমাদের অতিপ্রিয় তাই তাদের ব্যাপারে অধিক যত্নবান হওয়া আমাদের দায়িত্ব। মৌসুম বদল কিংবা আসন্ন শীতকে কেন্দ্র করে শিশুদের ব্যাপারে আরোও যত্নবান হওয়া উচিত। সাধারণত শীতকালে সকাল সন্ধ্যার সামান্য ঠান্ডা তাদের সর্দি কাশির মূল কারণ হতে পারে। এ সময় হালকা কাশি, সর্দি ও জ্বরের প্রবণতা থাকে।শ্লেষ্মায় বুক জাম করা,নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি দেওয়া ও ঘন ঘন হাঁচি পরার মত সমস্যা শীতকালে বেশি দেখা যায়।

নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়

সর্দি কাশি একটি সাধারণ অসুখ। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক। কেননা শিশু অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে কম থাকে সুতরাং সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হবার প্রবণতা শিশুর সর্বোচ্চ। শীতকালে যেহেতু এই দুটি রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে তাই এ সময়ে গরম কাপড় দিয়ে নবজাতককে মুড়িয়ে রাখা উচিত।

ঠান্ডা লাগার ফলে নবজাতকের সর্দি কাশি বেড়ে গেলে অনেক সময় তো শ্বাসকষ্টের রূপ নেয়।তখন আমরা অকারনেই এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো শুরু করি যা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই ঘরোয়াভাবে কিছু চিকিৎসার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। আসুন, আলোচনা রিপর্বে জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে শীতকালে নবজাতককে সুস্থ রাখা যায়।
  • নবজাতকের শরীর উষ্ণ রাখুন।
  • প্রচুর বিশ্রামের সুযোগ দিন।
  • কুসুম গরম পানি দ্বারা পুরো শরীর স্পঞ্জ করুন।
  • দুগ্ধ দান করুন ও পানি পান করান।
  • রসুন আদা বেটে সরিষার তেলে মেখে গরম করে নবজাতকের শরীরের মেসেজ করুন।
  • এক বছরের বেশি বয়স হলে সুপ খাওয়ান।
  • দুই বছরের বেশি বয়স হলেই এক থেকে দুই গ্লাস জুস খাওয়ান।
  • কাশির কারণে গলা ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গার্গল করান।এক বছরের নিচে বয়সের জন্য প্রযোজ্য নয়।

৩ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় 

আপনি হয়তো বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছেন আপনার বাচ্চা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত। ঠিকমতো ঘুমোতে পারছে না। সব সময় হয়তো সর্দি কাশি থেকেই আক্রান্ত হয়ে রয়েছে। যেহেতু নবজাতকের বয়স অল্প। তাই তাই চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যেহেতু কাশি ফুসফুস পরিষ্কারের একটি মাধ্যম তাই আপনি পারেন না সহজেই সেটিকে বন্ধ করতে। শিশুদের কাশির প্রধানতম কারণ হতে পারে ভাইরাস ঘটিত রোগ।

তাই অসুস্থতার শুরুতেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যাবে না। যদি শুরুর দিকেই আপনি কাশিকে প্রতিহতের চেষ্টা করেন তবে নিউমিনিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আপনি পরাজিত করলেন।

কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিশুর কাশি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
  • শিশুকে তরল পানীয় চামচের মাধ্যমে খাওয়ান।
  • শিশুর থাকার জায়গার তাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • শরীর গরম রাখার চেষ্টা করুন।
  • তেল জাতীয় কিছু মেসেজ করার চেষ্টা করবেন না।

১ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

এক মাসের বাচ্চা যেহেতু খুবই ছোট তাই তাদের যত্নটা হতে হবে খুব সাবধানে। ড্রপের সাহায্যে হালকা করে ওষুধ খাওয়াতে হবে। শরীর উষ্ণ রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট জনিত যদি কোন কারণ দেখা দেয় তাহলে নেবুলাইজারে গ্যাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা ও সর্দি কাশি সংক্রান্ত আলোচনা পরিপূর্ণভাবে করবার চেষ্টা করা হয়েছে। নিয়ম মেনে নবজাতকের চিকিৎসা নিন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url