মধুর উপকারিতা নিয়মিত মধু খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে

মধু কি মধু একটি মিষ্টি এবং ঘন তরল যা মৌমাছি এবং অন্যান্য পোকামাকড় ফুলের অমৃত থেকে তৈরি করে এবং মৌচাক সংরক্ষণ করে। এটি উচ্চ ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ভেষজ তরল; এটা সহজ. বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহারে চিনির তুলনায় এর অনেক সুবিধা রয়েছে।

মধুর  উপকারিতা নিয়মিত মধু খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে

মধু গুণের কথা নতুন করে আর বলার কিছু নেই জন্মের পর নানী-দাদীরা মুখে মধু দেয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন মধু হচ্ছে একটি তরল আঠালো মিষ্টি জাতীয় পদার্থ। যা মৌমাছিরা ফুল থেকে নেকটার বা পুষ্পর রস হিসেবে সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা রাখে পরবর্তীতে জমাকৃত পুষ্প রস প্রাকৃতিক নিয়মই বিশেষ প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ মধুতে রূপান্তর 

মধুর উপকারিতা নিয়মিত মধু খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে 

উপকারগুলো পাওয়া যাবে তাই এবার আমরা আলোচনা করব এক নম্বর হচ্ছে চেহারায় সৌন্দর্যের বৃদ্ধি হয় মধুতে এমন উপাদান রয়েছে যা ত্বককে নমনীয় বা কমল করতে সাহায্য করে। হলে তোকে থাকা দীর্ঘ দিনের বার্ধক্য সব আস্তে আস্তে সরে যায়। সাপ্তাহিক দুই থেকে তিন দিন মুখের ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কারণ মধু মানুষের ত্বকের উপরিভাগের মৃতকোষ দূর করে মুখের ত্বকে ভাজ পড়ার রোধ করে।

এর ফলে চেহারা সুন্দর হয়। নিয়মিত মধুর সেবন করলে অসংখ্য রোগ বালাই থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। মধু দেহের তাপ এবং শক্তিযুগের শরীরকে সুস্থ রাখে মধুদের রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে গলার সুর সুন্দর ও মধুর করে মধু বলা হয় ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু কার্যকর এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্য মধু ব্যবহার হয় পেট পরিষ্কার করার পাশাপাশি এটা আপনার চর্বি কমায়"। ফলে ওজন কমে ত্বকের ভাঁজ করা ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে এই মধু মধু তে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত হাড় ওর চুলের গোড়া শক্ত রাখে এবং নখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে মধুর রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে তাই এটা রক্তশূন্যতায় বেশ ফল দায়ক পুরনো আমাশয় এবং পেটের ব্যাথা নিরাময় শহ নানান জটিল রোগের নিরাময় করে থাকে।

মধু কি 

মধু একটি মিষ্টি এবং ঘন তরল যা মৌমাছি এবং অন্যান্য পোকামাকড় ফুলের অমৃত থেকে তৈরি করে এবং মৌচাক সংরক্ষণ করে। এটি উচ্চ ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ভেষজ তরল; এটা সহজ. বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহারে চিনির তুলনায় এর অনেক সুবিধা রয়েছে।অনেক মানুষ চিনির চেয়ে মধুকে তার স্বতন্ত্র স্বাদের জন্য পছন্দ করে।

বাংলাদেশের সুন্দরবনের মধু তার স্বাদ, রঙ, মৃদু গন্ধ এবং ঔষধি গুণের জন্য বিখ্যাত। সুন্দরবনের অধিকাংশ মধু আসে কেওড়া গাছের ফুল থেকে। সুন্দরবনের মাওয়ালি সম্প্রদায়ের মানুষ মৌচাকের মধু সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। মধুর আরেকটি গুণ হল এটি কখনও নষ্ট হয় না হাজার বছরেও মধুর গুণাগুণ নষ্ট হয় না

মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সঠিক নিয়ম

আজকে আমরা জানব মধু কিভাবে খাওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন মধু খাওয়ার আসল নিয়ম কি মধু কিভাবে কতটুকু পরিমান খেলে তা আপনার দেহে বিভিন্ন ধরনের উপকার করবে এবং রোগ দূর করতে সক্ষম হবে, মধু খাওয়ার কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে এবং মধু খাওয়ার উপকার বা মধু খাওয়ার গুনাগুন কি কি এই সকল বিষয়গুলো আমরা ধারাবাহিকভাবে জেনে নেব।

চলুন এক এক করে জানতে থাকি সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই কি করছেন মধু গরম পানিতে খাচ্ছেন বা গ্রিন টি অন্য কোন লাল চায়ের সঙ্গে বা মসলাটার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাচ্ছেন আচ্ছা মধু যখন আপনি চাইবা গরম পানিতে মিশাচ্ছেন তখন পানির তাপমাত্রা কি খেয়াল করে দেখেছেন যখনই পানের তাপমাত্রা বা যে গরম উপাদানের সঙ্গে আপনি মধু মেশাবেন।

তার তাপমাত্রা ৪২° সেন্টিগ্রেটেড ওপরে যাবে তখন মধুর গুন পরিবর্তন হয়ে মধু বিষাক্ত পদার্থের পরিণত হবে কাজেই আপনি মধু কতটুকু গরম উপাদানের সঙ্গে মেশাচ্ছেন তা আপনাকে বিশেষভাবে খেয়াল করতে হবে সকালে আপনি গরম পানিতে মধু খেতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানিতে কখনোই মেশাবেন না পানি বা দুধ বাজে কোন

খাবারের সঙ্গে আপনি মধু মেশালে সেই খাবার অবশ্যই আপনাকে একটু ঠান্ডা হতে দিতে হবে এটা সহনীয় মাত্রার অর্থাৎ আপনি পান করা ঠিক আগে আগে মধুটা ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে অতিরিক্ত গরম পানিতে বা অতিরিক্ত গরম খাবারের মধু মেশানোর ভুল কখনোই করবেন না অনেকেই আছেন যে চিনি বা যে কোন মিষ্টি উপাদানের পরিবর্তে

খাবারের মধু মিশিয়ে দেন আবার সেই খাবার দ্বিতীয়বার গরম করছেন বা খাবার রান্না করতে করতে থাকেন বধু গরম করা থেকে অবশ্যই বিরোধ থাকবেন যদি আপনি মধু দীর্ঘদিন ধরে একই কৌটায় বা যারে রেখে খেতে চান তাহলে কখনোই তাপ প্লাস্টিকের বোতলে থাকা বা প্লাস্টিকের কৌটায় থাকা অবস্থায় খাবেন না প্লাস্টিকের কৌটায় দীর্ঘদিন

মধু থাকার ফলে বিষাক্ত হয়ে যায় অবশ্যই আপনাকে কাঁচের কৌটায় সংরক্ষণ করতে হবে যেসব প্রতিষ্ঠান মধুবাজারজাতকরণের সময় প্লাস্টিকের জারে বা কৌটায় ভরে বাজারজাতকরণ করছেন সেইসব মধুর যারা খাচ্ছেন তারা কিন্তু অবশ্যই বিপদে পড়ছেন আর মধু খাওয়ার আগে কেনার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই একেকজনের মাথায় থাকা উচিত

মধু তাহলে আপনি কিভাবে খাবেন কিভাবে খেলে মধু খাওয়ার গুনাগুন আপনি পাবেন মধু আপনাকে সব সময় ঠান্ডা অবস্থায় খেতে হবে অর্থাৎ যে রুম টেম্পারেচারে আপনি মধু রাখছেন তেমন অবস্থায় খাবেন কিন্তু ভুলেও কখনো মধু ফ্রিজে রাখবেন না মধু ফ্রিজে রাখলেও তার গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায় হয়ে যায় কাঁদে রুম টেম্পারেচারে রাখুন

এবং খান গরম পানি বা গরম লেবু পানি চা দুধ কোন কিছু সঙ্গে মধু মেশাতে হলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এলে তখনই মেসান এগুলো মধু খাওয়ার আসল তথ্য এবারে আমরা জানবো যে মধু খেলে কি কি ক্ষতি হয়। মধুর ভেতরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার দেহে ক্ষতি বা উপকার দুটোই করতে পারে আপনি কিভাবে কখন কতটুকু খাচ্ছেন

তার ওপর নির্ভর করে যদি আপনি একজন শিশুকে মধু খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই তার বয়স বিবেচনা করতে হবে মধু খাওয়ার নিয়ম দুই বছরের আগে শিশুকে মধু খাওয়ানো ঠিক না তবুও যদি কেউ খাওয়ান তাহলে এক বছর পেরুতে দিন এবং এক বছরের পরে ভালো মানের খাঁটি অথবা ভালো গুণসম্পন্ন রিফাইন্ড করা মধু আপনি

এক থেকে দুই ফোঁটা করে খাওয়াতে পারেন তবুও শিশু শরীরের ওপর নির্ভর করে যদি ওপর নির্ভর করে যদি সেই শিশুর শরীর গরম হয়ে থাকে অর্থাৎ তার বায়ু বা পিত্ত বেশি হয়ে থাকে তাহলে তাকে মধু না খাওয়ানোই ভালো তেমনিভাবে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিও মধু খাওয়ার আগে তার বয়স ওজন উচ্চতা বিবেচনা করে তবেই খাবেন মধু কখন

খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন মধু খাওয়ার আসল নিয়ম হল সকালে বা রাতে আপনি যদি সকালে মধু খান তাহলে হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন যদি আপনার ওজন অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে সেই গরম পানির সাথে একটি লেবুর রস যুক্ত করে নিতে পারেন আর যদি আপনার ওজন হালকা হয়ে থাকে তাহলে আপনি কোন

ধরনের লেবু না শুধুমাত্র মধু মিশিয়ে গরম পানি পান করুন তবে খেয়াল রাখবেন কখনোই বাসিমুখে বা খালি পেটে এ মধু পানি পান করবেন না এর আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানি পান করে নিবেন তারপরেই মধু পানি খাবেন আর রাতে খেতে পারেন আপনি এক চামচ শুধু মধু অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে আপনি মধু পান করে

ঘুমোতে পারেন এতে করে আপনার রাতের ঘুম খুব ভালো হবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে তেমনি আপনি যদি সকালে মধু খান বিশেষ করে লেবুতে যদি মধু মিশিয়ে খান তাহলে আপনার দেহের খারাপ কোলেস্ট্রল কমতে থাকবে হার্ড ভালো থাকবে ওজন তো অবশ্যই ধীরে ধীরে কমবে এবং এটা দীর্ঘমেয়াদি ফল দেবেন মধু আসলে কোষ্ঠকাঠিন্য কে দূর করে

এবং আপনার গ্যাস এসিডিটি বদ হজমকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যাদের প্র্যাকটিকালচারের সমস্যা রয়েছে তারা যদি রাতে বা সকালে ঘুমানোর আগে এক চামচ করে মধু খান তাহলে দেখবেন যে খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। জ্বলতে থাকবে কিন্তু ক্র্যাকলিং সাউন্ড শোনা যাবে মধুর গুণের কোন শেষ নেই কিন্তু সেটি হতে হবে অবশ্যই খাঁটি আর খাটি মধ্যে চেনার উপায় যদি আপনার জানা থাকে তবে মধুর শতভাগ উপকারিতা আপনি পেতে পারেন নিঃসন্দেহে

খাটি মধু চেনার উপাই 

গুণের কথা নতুন করে আর বলার কিছু নেই জন্মের পর নানী-দাদীরা মুখে মধু দেয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন মধু হচ্ছে একটি তরল আঠালো মিষ্টি জাতীয় পদার্থ। যা মৌমাছিরা ফুল থেকে নেকটার বা পুষ্পর রস হিসেবে সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা রাখে পরবর্তীতে জমাকৃত পুষ্প রস প্রাকৃতিক নিয়মই বিশেষ প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ মধুতে রূপান্তর এবং কোষ বদ্ধ অবস্থায় মৌচাকে সংরক্ষণ করে।

বর্তমানে আমরা বাজার থেকে যে মধু কিনে আনি তা কতটুকু ঘাঁটি বলা মুশকিল মধুর মধ্যে সাধারণত ভেজাল হিসেবে পানি চিনি ও আরো অনেক কিছু মেশানো হয় সেদিন খাঁটি মধু ফ্রিজে ঠান্ডায় জমবে না ভেজাল মধু পুরোপুরি না জড়লেও জমা টাকা দিয়ে তলা নিতে বসে পড়বে কাগজের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু নিন তারপর যেখানে পিপড়া আছে সেখানে রেখে

দিন মধুর ধারে কাছে না ঘাসে দেখে দিনটা যদি মধুর ধারে কাছে না আসে তবে তা খাটি মধু আর পিঁপড়া যদি তা পছন্দ করে তবে মধুতে ভেজাল আছে এক গ্লাস পানি নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচ পরিমাণ মধু নিন খুব ধীরে ধীরে গ্লাসটি শেয়ার করুন যদি মধু পানিতে পুরোপুরি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা ভেজাল মধু আর মধু যদি পানিতে ছোট ছোট

পিন্টের আকারে থাকে তবে তা খাঁটি মধু নিয়ে একটি কটন বেগ নিয়ে এক প্রান্তকে মধুর মধ্যে ডুবিয়ে নিন তারপর উঠিয়ে হালকা শেক করে নিন একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে বা লাইটার জ্বালিয়ে তা আগুনের শিখায় ধরুন যদি তা জ্বলতে থাকে তবে মধুখাঁটি আর যদি না জ্বলে তবে মধুতে পানি মেশানো আছে নিম ফুলের মধু

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url