মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা



প্রিয় পাঠক বাড়ানো ওজন বাড়ানো প্রবাসী একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ বলে মনে হয়, অতিরিক্ত ওজন যেমন বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাড়ায় তেমনি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন হলে সেটিও শঙ্কার কারণ হতে পারে| এখানে ওজন বাড়ে কোন খাবারে ভূমিকা পালন করে।


অথেব খাওয়ার জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন করা কঠিন হতে পারে সে ব্লগে আমরা মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা আপনাদের সামনে আলোচনা করব আপনাকে আপনার ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের সহায়তা করতে পারে।

ভূমিকা

রোগা হওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক সমস্যায় আছে। তাদের জন্যই আজকে আমি কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়?

ওজন বাড়ানোর জন্য সকালের নাস্তায় যে সকল খাবার গুলো রাখতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে দুধ কলা ডিম ও খেজুর।

দুধঃশুরুতে দুধ নিয়ে বলি আমাদের শরীরে যত ধরনের বৃষ্টি দরকার তার প্রায় সবগুলোই দুধে পাওয়া যায় প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে যা আমাদের হারগুলো মজবুত করতে সাহায্য করে আর দুধের একটা বড় সুবিধা হল অন্যান্য খাবারের সাথে খুব সহজে এক গ্লাস দুধ খেয়ে নেয়া যায় এটা আপনার ওজন বাড়াতে খুব সহজেই সাহায্য করবে।

কলাঃএবার আলোচনা করা যাক কলা নিয়ে কলায় ভিটামিন বি সিক্স আছে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতায় সাহায্য করে ভালো পরিমাণের ফাইবার আছে যা আমাদের হজমের সাহায্য করে হার্টের রোগীর ঝুঁকি কমানোর সম্পর্ক আছে। খুব সহজেই খাওয়া যায় এটা আপনার ওজন বাড়াতে খুব সহজেই সাহায্য করবে।

ডিমঃডিম কে অনেকেই বলে প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন এতে ভিটামিন এ আছে যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভিটামিন বিটু কি আছে যা আমাদের ত্বক ভালো রাখে জিংক আছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতায় খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এমন অনেক আরো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমৃদ্ধির তাই সকাল সকাল না টার সাথে ডিম সিদ্ধ খেয়ে নিতে পারে এটা আপনার ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়?

খেজুর একটা অসাধারণ ফল ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে আর অলিক অ্যাসেট আছে যার রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে ফাইবার আছে যার উপকারিতা একটু আগে আলোচনা করেছি মোটকথা খেজুরের পুষ্টিগুণ অসাধারণ কয়েকটা খেজুর খেয়ে নিলে শরীর স্বাস্থ্যে দুইটারই উপকার হবে। এটা আপনার ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা?

ফ্যাট জাতীয় খাবার খান একটু বেশি চকলেট মেয়োনিজমাখন দুধ ডিম একটু বেশি করে খেতে হবে এসব খাবারে থাকা ফ্যাট ক্যালোরি ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরী তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এসব না খাওয়াই ভালো।

শরীরের জন্য সে ক্ষেত্রে হালকা এক্সারসাইজ করা উচিত যাতে চর্বি অধিক মাত্রায় শরীরের না জমে খেতে পারেন আম ও দুধ প্রতিদিন দুইটি করে পাকা আম খেতে পারেন এবং এরপর এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খেতে পারেন আবার দিনে একবার দুই গ্লাস আম আর দুধ মিলিয়ে শ্বেত বাণীও খেতে পারেন।

মাস খানেকের মাঝে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়বে নিয়মিত খান কিসমিস ও ডুমুর কিসমিস ও শুকনো ডুমুর ফল উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন ছয়টি শুকনো ডুমুর ফল এবং ৩০ গ্রাম কিসমিস পানি বা দুধে সারারাত ভিজে রেখে সেই পানিসহ ফল গুলো দুই বারে খাবেন ২০ থেকে ৩০ দিনে ভালো ফল পাবেন।

আশা করা যায় খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন ঘি আর চিনির মিশ্রণ এক টেবিল চামচ ঘি এবং এক টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে প্রতিবেলা খাবার আধাঘন্টা আগে খালি পেটে খেয়ে নিন এক মাস খাবার পরেই লক্ষণীয় পরিবর্তন চোখে পড়বে খাবারের এখন আলো প্রচুর শর্করা আছে আলুতে তাই নিশ্চিত ভাবে বলা যায় নিয়মিত আলো খেলে ওজন বাড়বে।

আলুর তরকারিতে দিয়ে ভাজি করে গ্রিল করে বাটার মিশিয়ে বা ভালো মানের তেল দিয়ে ফ্রেন্ড ট্রাই করে নিয়মিত খেতে পারেন খেতে পারেন আরো খাবেন বাদাম প্রতিদিন সকালে উঠে ছয় থেকে সাতটা কাজুবাদাম ও কিসমিস খালি পেটে খেয়ে নেন এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো।

হয় যদি আগের দিন রাতে এক গ্লাস পানিতে কাজু এবং কিসমিস ভিজে রেখে পরের দিন সকালে ওই পা পানি খাওয়া যায় খেয়ে নিন খাওয়া যেতে পারে মোটা হতে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সাধারণত ভাতের ফ্যানে বেশিরভাগ পুষ্টি ও ফ্যাট থাকে যা মার ফেলে দেওয়ার সাথে সাথে বেরিয়ে যাই এই ভাতের মার একমাস নির্মিত খেলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।

ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্ট

  • দুধ: শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদানই দুধে পাওয়া যায়।
  • কলা: কলায় ভিটামিন বি-৬ আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ডিম: ডিমকে 'প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন' বলা হয়।
  • খেজুর: এটি একটি অসাধারণ পুষ্টিগুণের ফল।
  • ডাল: ডাল খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার।

কি ঔষধ খেলে মোটা হওয়া যায়?

মনে হয় আমি দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছি আমাকে একটু মোটা হতে হবে মোটা হওয়ার জন্য কি কি ওষুধ খেতে হবে অবশ্য আপনাদেরকে বলে দিব।
  • পিউটন সিরাপ
  • সিনকারা সিরাপ
  • রুচিভিট সিরাপ
  • রুচিটন সিরাপ
  • আমলকি প্লাস
  • আলফালফা প্লাস সিরাপ
  • ছাফি সিরাপ
  • কাড়মীণা সিরাপ
মোটা হওয়ার জন্য ওষুধের নাম হল 'স্টিরয়েডস', যেমনঃ ডেকা-ড্রাবোল, অক্সিমিথোলোন, নান্দ্রলোন, অক্সিমিথোলোন এই ধরনের ওষুধ। এই ওষুধগুলি মাংসপেশী প্রতিস্থাপন করে ও খাদ্য সংগ্রহ বাড়ায়।

মোটা হওয়ার উপকারিতা কি?

সবাই যদি ফিট এবং স্বাস্থ্যকর থাকার সুবিধা ও অসুবিধা গুলি সম্পর্কে অবগত হতো। তাহলে এত লোক এখনো অতিরিক্ত মোটা কিভাবে? বেশিরভাগ লোকই জানেন অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে কিন্তু দেখা যায় মোটা মানুষ সবচেয়ে সুখী, তাদের খাবার নিয়ে কোন চিন্তা নেই। তাদের খাবার উপভোগ করতে পারে ইচ্ছামত, এবং তাদের মধ্যে দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস দেখা যায়।

মোটা হওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি

আপনি জানলে অবাক হবেন, স্থূলতা একটি নীরব ঘাতক। তাই,স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া নিশ্চিত করা ভালো। মোটা হওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো – হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, হাঁটতে কষ্ট হয়, জীবনের গুণমান খারাপ হয়, বিষণ্ণতা এসে ভর করে।

লেখক এর মন্তব্য

আশা করি, আর্টিকেলটি পড়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ঔষধের নাম বাংলাদেশ, ভিটামিন ঔষধ এবং মোটা হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা কি, উপকারিতা কি, সে সম্পর্কে আপনার একটা ভাল ধারণা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি পরে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে জানাবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url