কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়

"কিডনিতে ব্যথা কোথা থেকে আসে।কিডনি ব্যথা মানে কি।কিডনিতে ব্যথা হলে কীভাবে জানবেন।কিডনি ব্যথা সম্পর্কে কি করতে হবে"কখন কিডনি ব্যথা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হবেন"

ভুমিকা

কোথায় ব্যথা এর থেকেই হতে পারে কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত। কিডনির সমস্যা হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

কিডনি সমস্যা যে কোন ব্যক্তি যে কোন বয়সের মধ্যে হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে কিডনি খারাপ হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে কিডনি ড্যামেজ হবে কোন কোন লক্ষণ গুলো দেখা যায়। তাহলে প্রথম থেকেই চিকিৎসা করানো সহজ হবে আপনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকবে না চলুন জেনে নেওয়া যায় লক্ষণগুলো।
  • সারাক্ষণ ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব।
  • গরম পরিবেশেও ঠান্ডা লাগবে।
  • নিঃশ্বাসের সমস্যা হবে।
  • দুর্বলতা অনুভব।
  • শরীরে চুলকানি দেখা দিবে।
  • হাত পায়ের পাতা মুখ ফোলা।
  • রাতে ঘন ঘন প্রসব হবে।
  • জীবের স্বাদ চলে যাবে।
  • আরো অনেক সমস্যা হতে পারে

কিডনি ব্যথা দূর করার উপায়

কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই লিখাটি আপনার জন্য আমাদের কোমরে কোন ব্যাথা হলেই আমরা চিন্তায় পড়ে যাই এটা কি কিডনির ব্যথা নাকি কোমর ব্যথা নাকি অন্য কোন সমস্যা।

সাধারণত আমাদের শরীরের ডান পাশে বুকের পাজর এবং কোমরের হাড়ের মাঝখানে কিডনি থাকে তাই এই সমস্ত জায়গায় ব্যথা হলে ধরে নিতে পারেন কিডনির সমস্যা আছে কিডনির সমস্যা সন্দেহ হলে আপনার নিকটবর্তী চিকিৎসককে দেখান চিকিৎসক যদি আপনাকে কিডনি বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কিডনি বিশেষজ্ঞ কাছে যাবেন।

তবে কিডনি ব্যথার জন্য কোন ব্যথার ওষুধ না খেয়ে আপনি বাসায় কিছু নিয়ম ফলো করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই উপকার পাবেন কিডনি ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে প্রথম হচ্ছে প্রচুর পানি খেতে হবে কিডনি ব্যথা কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা।

একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়া উচিত আপনার কিডনিতে যদি পাথর থাকে সেক্ষেত্রে আরও বেশি পানি পান করা উচিত যাতে প্রসাবের সাথে পাথর বের হয়ে যায়
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
কিডনি ব্যথা দূর করার জন্য বিশ্রাম অনেক উপকারী বিশেষ করে কিডনি পাথর বা কিডনি ইনজুরি হলে অতিরিক্ত হাঁটাচলা কাজকর্ম এবং বেশি এক্সারসাইজ করলে ব্লেডিং বাড়তে পারে তাই ব্যথা হলে রেস্ট নেওয়া উত্তম আপনি যেভাবে শুইলে ভালো লাগে কিডনি ব্যথা কম হয় সেভাবেই শুয়ে থাকতে হবে।

মাঝে মাঝে গরম শেখ দিতে হবে গরম শেখ ব্যথা কমানোর জন্য ভালো কাজ করে গরম শেখ দিলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় তবে গরম সেঁক দেওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেন পুড়ে না যায়
চিকিৎসকের পরামর্শ তে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন।
  • ভিটামিন সি কম খেতে হবে
বিশেষ করে ভিটামিন সি শরীরের ঘা বা কত শুকানো ও হাড়ের গঠনের জন্য খুবই উপকারী অত্যন্ত প্রয়োজনের জিনিস ভিটামিন সি শরীরের জন্য কিন্তু কিডনির ব্যথার ক্ষেত্রে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণ খেলে সমস্যা হতে পারে কারণ বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি খেলে সেটা কিডনির অক্সলেটে পরিণত হয় এই অক্সলেট কিডনি র পাথরে পরিণত হয় তাই কিডনিতে পাথরের সমস্যা হলে ভিটামিন সি কম খাওয়া অবশ্যই উত্তম।

কিডনিতে পাথরের লক্ষণ

  • কোঁকড়ানো এবং পক্ষের মধ্যে চরম ব্যথা
  • প্রস্রাবে রক্ত
  • বমিভাব এবং বমি বমি ভাব
  • প্রস্রাবে পুঁজ বা শ্বেত রক্ত কোষের উপস্থিতি
  • পরিমাণে কম প্রস্রাব
  • প্রস্রাবের সময় জ্বলন বা জ্বলন
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের তাগিদ
  • সংক্রমণ যা জ্বর এবং সর্দি হতে পারে

কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়

কিডনির সমস্যা মূল উপসর্গ ব্যথা নয় এটি শরীরের পানি আসা অরুচি বমি ভাব দুর্বলতা দেখা দেয় গাজরের পিছনে নিচে অংশে ব্যথা অনুভব হওয়ার কথা। এই ব্যথা নড়াচাড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে। এই ব্যথা থেকে থেকে এমন বেশি হয় যে কোন কিছুতে আরাম মেলে না।

কিডনি ড্যামেজের চিকিৎসা

আসলে কিডনি আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে এটি। আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া, কিংবা বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া, এগুলোর কাজ করে কিডনি। যদি কিডনি এই কাজটা বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমাদের শরীরে পানি জমে যেতে থাকে। বর্জ্য পদার্থ জমে যেতে থাকে। তার মৃত্যু ছাড়া কোনো গতি থাকে না। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি তিনটি।

একটি হলো হিমোডায়ালাইসিস।এতে রক্ত বের করে মেশিন দিয়ে ধোয়া হয়। এটি করতে প্রায় চার ঘণ্টা লাগে। প্রতি সপ্তাহে দুটো বা তিনটি সেশন লাগে।

আরেকটি রয়েছে। একে সিএপিডি বলে।এটি বাসায় করা যায়। পেটের ভেতর একটি টিউব সেট করা থাকে। এটি অনেক দেশেই করা হয়। এতে স্বাস্থ্যসেবার ওপর চাপ কমে যায়।
এর বাইরে আমরা কিডনি ট্রান্সফার করতে পারি এটা হয় ১৯৫৪ সালে আজ থেকে প্রায় ৬৯ বছর আগে।

কিডনি ফেলিওর কি?

শরীরের মধ্যে কিডনি প্রধান কাজ পরিশোধন করা। কিন্তু শরীরের কোনও রোগের কারণে, যখন উভয় কিডনি তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম হয়, তখন সেই অবস্থায় কিডনি ব্যর্থ হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url